পোস্টগুলি

বাদশাহ যখন চোর !

ev`kvn hLb †Pvi! Zmwjgv AvKZvi   ev`kvn myjZvb gvngy` MRbex GKw`b iv‡Z ev`kvnx †cvkvK †Q‡o mvavib †cvkvK cwiavb K‡i evB‡i ‡ei nb| nuvU‡Z nuvU‡Z GK ¯’v‡b G‡m wKQz gvby‡li RUjv †`L‡Z cvb| wZwb eyS‡Z cvi‡jb Giv nj †Pvi| wZwb hLb Zv‡`i Kv‡Q Avm‡jb myjZvb‡K Zviv wR‡Ám Kij, Zzwg †K ? †Zvgvi cwiPq Kx ? wZwb ej‡jb AvwgI †Zvgv‡`i gZ GKRb| Zviv fvej G e¨w³I Avgv‡`i gZ †Pvi| AZtci †Pv‡iiv

নেক কাজ ও ফলের বাগান

এক বাদশার একটি বাগান ছিল। বাগানটি ছিল অনেক বড় এবং বিভিন্ন স্তর বিশিষ্ট। বাদশাহ একজন লোককে ডাকলেন। তার হাতে একটি ঝুড়ি দিয়ে বললেন, আমার এই বাগানে যাও এবং ঝুড়ি বোঝাই করে নানা রকম ফলমুল নিয়ে আস। তুমি যদি ঝুঁড়ি ভরে ফল আনতে পার আমি তোমাকে পুরস্কৃত করব। কিন্তু শর্ত হল, বাগানের যে অংশ তুমি পার হবে সেখানে তুমি আর যেতে পারবে না। লোকটি মনে করলো এটা তো কোন কঠিন কাজ নয়। সে এক দরজা দিয়ে বাগানে প্রবেশ করল। দেখল, গাছে গাছে ফল পেকে আছে। নানা জাতের সুন্দর সুন্দর ফল। কিন্তু এগুলো তার পছন্দ হল না। সে বাগানের সামনের অংশে গেল। এখানকার ফলগুলো তার কিছুটা পছন্দ হল। কিন্তু সে ভাবল আচ্ছা থাক সামনের অংশে গিয়ে দেখি সেখানে হয়ত আরো উন্নত ফল পাব, সেখান থেকেই ফল নিয়ে ঝুঁড়ি ভরব। সে সামনে এসে পরের অংশে এসে অনেক উন্নত মানের ফল পেল। এখানে এ সে তার মনে হল এখান থেকে কিছু ফল ছিড়ে নেই। কিন্তু পরক্ষণে ভাবতে লাগলো যে সবচেয়ে ভাল ফলই ঝুড়িতে নিবে। তাই সে সামনে এগিয়ে বাগানের সর্বশেষ অংশে প্রবেশ করল। সে এখানে এসে দেখল ফলের কোন চিহ্ন ই নেই। অতএব সে আফসোস করতে লাগল আর বলতে লাগল, হায় আমি যদি বাগানে ঢুকেই ফল সংগ্রহ ...

আংটি রহস্য

আংটি মা হ মু দ হা সা ন আ বা বি ল অন্য দিনের তুলনায় আজকে একটু বেশি শীত পড়েছে। রাত এগারোটা নাগাদ পড়ার টেবিলেই বসে ছিলাম। শেষ পর্যনত্দ প্রচন্ড শীতের কাছে হার মানতে হলো। হাত-পা গুলো বরফের মত জমে আসছে। চোখ জোড়াও বুঝি ক্লানত্দ হয়ে পড়েছে। তাড়াহুড়ো করে লেপের ভিতরে ঢুকে পড়লাম। যেন ব্যাঙের মত শীতনিদ্রার প্রস্তুতি। তন্দ্রাচ্ছন্ন চোখে ঘুম আসতে বেশি সময় লাগল না। এর মধ্যেই কেউ একজন আমাকে ডাকতে শুরু করলো। ডাকটা ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে আসছে। হ্যাঁ , স্পষ্ট বুঝতে পারছি এটা একটা মেয়ে মানুষের কন্ঠ।-ওঠো মাইকেল , ওঠো…। আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা কি করবো। মেয়েটার কণ্ঠটা খুব মিষ্টি।-ওঠো মাইক , আমি উইলিয়াম শেরী।-উইলিয়াম শেরী ? কে উইলিয়াম শেরী ? আমি মেয়েটাকে দেখার জন্য অনেক কষ্ট করে চোখ খুললাম। সামনে দাড়িয়ে আছে মেয়েটা , ধবধবে সাদা একটা

দোজখের ছোট ইন্ধন

হযরত বাহলুল (রাঃ) বণর্না করেন, বসরার পথে আমি কয়েকজন যুবকের সাক্ষাৎ পেলাম যারা আখরোট এবং বাদাম নিয়ে খেলা করছিল । সামান্য দূরে এক যুবককে দেখতে পেলাম । সে তাদের খেলা দেখছিল আর কাঁদছিল । আমি ভাবলাম , এই ছেলে হয়তো ঐ ছেলেদের কাছে আখরোট এবং বাদাম দেখে কাঁদছে । আমি তাকে বললাম, হে ছেলে কাঁদছ কেন ? আমি তোমাকে বাদাম ও আখরোট কিনে দিব । তুমি তা খেতে পারবে । আমার কথা শুনে ছেলেটি মাথা তুলে আমার দিকে তাকাল এবং বলল, হে নির্বোধ , আমি খেলাধুলার জন্য সৃষ্টি হইনি ? আমি বললাম , হে সাহেবজাদা, তাহলে কি জন্য সৃষ্টি হয়েছ ? সে বলল , আল্লাহর ইবাদতের জন্য । আমি বললাম এটা তুমি কোথা হতে জানতে পারলে ? আল্লাহ্ তোমার জীবনে বরকত দান করুন । সে বলল, আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন : অর্থ : তোমরা কি ধারণা করেছ যে , আমি তোমাদেরকে অযথা সৃষ্টি করেছি , আর তোমরা আমার নিকট প্রত্যার্বতন করবে না । ( সূরা মুমিনূন : ১১৫) আমি বললাম , হে সাহেবজাদা ! তোমাকে তো বুদ্ধিমান মনে হয় । আমাকে কিছু নসিহত কর । সে বলল, দুনিয়া খুবই ক্ষণস্থায়ী । দুনিয়া চিরকাল কারো জন্য থাকবে না । মানুষও দুনিয়ায় মরণহীন থাকবে ...

তিনটি প্রশ্ন - লিও টলস্টয়

এক রাজার কাছে হঠাৎ মনে হল যে তিনি যদি কোন কাজ করবার একদম উপযুক্ত সময়টি জানতে পারতো, ঠিক কোন ধরণের ব্যক্তির কোন কথা শুনতে হবে তা যদি আগের থেকেই জানতে পারতো বা কোন ধরণের লোক এড়িয়ে চলতে হবে তা আগের থেকেই বুঝতে পারতো এবং সবকিছুর উপরে, তিনি যদি আগের থেকেই জানতো কখন কোন কাজটি করা সবচাইতে প্রয়োজন; তাহলে তাকে কখনই কোন কাজে ব্যর্থ হতে হতো না যার দায়ভার তাকে ভবিষ্যতে নিতে হতো। তার মাথায় এই চিন্তা আসবার পর তিনি তার সমগ্র রাজ্যে প্রচার করবার ব্যবস্থা করলেন যে যদি কোন ব্যাক্তি কোন কাজ শুরু করবার সবচাইতে সঠিক সময়, ঠিক কোন ধরণের ব্যক্তির বা ব্যক্তিদের কথা শুনতে হবে এবং বিভিন্ন কাজের সুযোগের মধ্যে কোনটির গুরুত্ব সবচাইতে বেশী, এই তিনটি বিষয়ে সঠিক সিধান্ত গ্রহণ রাজাকে শিখাতে পারে তাহলে তাকে রাজামশাই বিশাল আকারের পুরস্কার প্রদান করবেন। রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জ্ঞানীগুণী-বুদ্ধিজীবীরা আসতে লাগলো রাজার কাছে। কিন্তু তারা প্রত্যেকে রাজার প্রশ্নের ভিন্ন ভিন্ন উত্তর দিলো। প্রথম প্রশ্নের উত্তরে কেউ বললেন যে কোন কাজ সঠিক সময়ে শুরু করবার জন্য একজনকে অনেক আগের থেকে; এক সপ্তাহ, এক মাস এমনকি প্রয...

আশ্চর্য কৌশল

বাদশা সব মন্ত্রীকে বাদ দিয়ে বীরবলকেই বেশি ভালবাসতেন। মন্ত্রীরা অনেকেই বীরবলের প্রতি ঈর্ষান্তিব, বাদশা এ কথা জানতেন। বীরবলকে অপদস্থ করার অনেক চেষ্টা করেও তাঁরা তা পারতেন না, এসব জেনেও বাদশা চুপ করে থাকতেন। একদিন হঠাৎ বীরবলের অনুপস্থিতিতে একদল মন্ত্রী এসে বাদশাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে বললেন ‘হুজুর আমরা এমন কী অপরাধ করেছি যে জাঁহাপনা, আপনার সেবা করবার কোনও সুযোগ পাই না। যা কিছু জ্ঞানবুদ্ধির কাজ, বিচারের কাজ, সেবার কাজ, সবই আপনি বীরবলকে দেন। দয়া করে আমাদের ওপরেও কিছু ভাল কাজের দায়িত্ব দিন। দেখুন না বীরবলের চেয়ে আমরা ভাল পারি কি না? বাদশা বললেন, ‘তোমাদের কথাটা নেহাত মিথ্যে নয়। সত্যিই বীরবলকে যত বিশ্বাস করি বা ভালবাসি, তোমাদেরকে তা করি না। কারণ বীরবলের অসাধারণ গুণ, সততা, ধৈর্যবিচক্ষণতা ও সাধুতা যেন আমাকেও দিন দিন ছাড়িয়ে যাচ্ছে। তাকে একদণ্ডও না হলে আমার একদম চলে না, এটা তোমরা মিথ্যা বলোনি। কাজ অবশ্য তোমাদের আমি দিই না আজকাল, কারণ জানি তোমরা বীরবলের মতো পারবে না বলে। বীরবলকে হিংসা কোরো না, সে কিন্তু সত্যিই ভাল।’ ‘ মন্ত্রীরা সব একসঙ্গে মিলে ডুকরে কেঁদে উঠলেন। বললেন, ‘হুজুর, কী আমাদের অপরাধ?...

কেউ ছোট নয়

সম্রাট একদিন বেশ হাসিখুশি মুখে ছিলেন। সেই সুযোগে বীরবল বললেন, সম্রাট, আপনার কাছে একটি ভিক্ষে চাই?’ সম্রাট বললেন, ‘বেশ তো, বলো? ‘ যদি আমি কোনওদিন দোষ করি, আমার মনোনীত জুরিরা যেন আমার বিচার করেন। বাদশা বললেন, ‘বেশ ভাল কথা। তাই হবে।’ বেশ কিছুদিন পরে ইচ্ছা করেই বীরবল একটি ঘোরতর অন্যায় কার্য করে বসলেন। সম্রাট স্থির করলেন বীরবলকে শাস্তি দিতেই হবে। এমন উপায় নেই। বীরবল বেশ বুঝতে পারলেন, যদি ঠিকমতো শাস্তি হয় তবে অন্তত দশ-বিশ হাজার টাকা তার অর্থদণ্ড হতে বাধ্য। কিন্তু সেই সময় সম্রাটকে তিনি পূর্বপ্রতিজ্ঞা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বললেন, ‘হুজুর, আমার জুরিদের আমিই স্থির করব বলে যে ভিক্ষা চেয়েছিলাম, এবং আপনি ভিক্ষা দেবেন বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন, অতএব আপনার কথা যদি এখন রাখেন তবে আমার পক্ষে ভাল হয়। সম্রাট বললেন, ‘তাই হোক, পাঁচজন বিচারক স্থির করে দাও, তাদের বিচার যাই হোক না কেন তোমাকে কথা দিলাম, আমি মেনে নেব।’ ‘তাহলে গ্রাম থেকে পাঁচজন দরিদ্র লোককে আনতে বলুন, তারা এসে আমার বিচার করুক। তারা যা বিচার করে দেবে তা আমি মাথা পেতে নেব।” ‘মানে? সম্ভ্রান্ত বিচারক তুমি চাও না? ‘হুজুর। দরিদ্ররাও তো মানুষ, সম্ভ...